মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: লক্ষীপুর জেলার রায়পুরে জামায়াত নেতা সিদ্দিক মুন্সীর কাছে এলাকার সাধারন মানুষ জিম্মি।মা-মেয়েকে ভোগ্যপণ্য বানাতে সানাউল্লাহ মিজির মেয়ের জামাইকে শিকলে বেঁধে পিঠিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে।এর সংবাদ পেয়ে রায়পুর থানার পুলিশ ভিকটিম কামালকে উদ্ধার পূর্বক রায়পুর উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
স্হানীয় বাসিন্দা-প্রত্যাক্ষদর্শী স্বাক্ষীর ও পুলিশের তথ্যমতে চরপাতা গ্রামের লিটন মেম্বার জানায়,গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুন ২০১৯) বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলাধীন শ্রীপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ ওবায়দুল মাঝির ছেলে মোঃ কামাল মাঝি রায়পুর থানার চরপাতা গ্রামের মোঃ কলিমুল্লাহ ছেলে সানাউল্লাহ মিজির মেয়ে জামাই বেড়াতে আসেন।এলাকার লম্পট চরিত্রের জামায়াত নেতা সানাউল্লাহ মিজির মেয়ে রিমা(২৫)কে সিদ্দিক তার ভোগ্যপন্য বানাতে কামালকে হত্যার উদ্দেশ্যে শিকলে বেঁধে পিঠিয়ে ২ লাখ টাকা কাবিনের তা আদায় পূর্বক জোর করে তালাক দিতে বাধ্য করতে চেয়েছিল।পরে স্হানীয় গ্রামবাসী লিটন মেম্বার কে খবর দিলে তার সহযোগিতায় থানার পুলিশ কামালকে উদ্ধার পূর্বক রায়পুর উপজেলার স্বাস্হ্য কমপ্লেসে ভর্তি করা হয়েছে।
মোঃ ওবায়দুল মাঝির সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে জানিয়েছেন,আমার ছেলে কামাল ঢাকায় ছাপার কারখানায় চাকরী করেছিল।আড়াই বছর আগে রায়পুর থানাধীন চরপাতা গ্রামের সানাউল্লাহ মিজির মেয়ে রিমাকে বিবাহ করে।তার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।নাম ফাতেমা ১ বছর বয়স।সানাউল্লাহ”র তালতো ভাই সিদ্দিকের সাথে আমার বেয়াইন রোকেয়া”র অবৈধ সম্পর্ক আছে।সেই কারনেই সিদ্দিকের কথা তার বাসার সকলেই চলে।
আমার পুত্রবধুকে সিদ্দিকের ভোগ্যপন্য বানাতে কামালকে ঘরজামাই রাখতে চান।আমার ছেলে ঘর জামাই থাকতে না চাওয়াতে সিদ্দিক মুনশীর নেতৃত্বে কতিপয় সন্ত্রাসীরা আমার ছেলে হাত-পা ভেঙ্গে চিরতরে পঙ্গুত্ব করতে চেয়েছিলেন।একারনেই কামালের প্রতি অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে।আমার ছেলে ঢাকায় স্ক্রীনপ্রিন্টের কারখানা দিতে গাছ-গরু বিক্রি করে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা সাথে নিয়ে শশুর বাড়ির থেকে রিমাকে সহ ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল।সিদ্দিক মুনশী জোরপূর্বক টাকা ছিনিয়ে আমার পুত্রবধুকে “তালাক” দেয়ার লক্ষ্যে কামালের কাছ থেকে টিপ/সই নিতে চায়।কামাল তার স্ত্রী রিমাকে “তালাক” দিতে রাজি না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
রায়পুর উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ লিটন মিয়া সাংবাদিকদের জানায়,ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।তিনি আরোও সত্তার মুনশীর ছেলে সিদ্দিক এলাকার লম্পট চরিত্রের মানুষ।জামায়াতের লেবাজ পরিধান করে নারীলোভী রিমার মায়ের সাথে একাধিকবার অনৈতিক কর্মকান্ডে করে ধরা পড়েছিল।এখন রিমাকেও তার যৌনদাসী বানাতে চান।কামালের উপর নির্যাতনের কঠোর শাস্তি চাই।
এব্যাপারে চরপাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে,তিনি জানিয়েছেন-আমাকে লিটন মেম্বার ঘটনা জানানোর পরে ঘটনাস্হলে গিয়ে উপজেলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ মামুনুর রশীদ ও থানার পুলিশকে অবগত করেছি।সিদ্দিক মুনশী পালিয়েছে।এলাকার সব মানুষ তার প্রতি এঘটনায় ক্ষীপ্ত হয়েছে।
এবিষয়ে রায়পুর উপজেলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ মামুনুর রশীদ সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে,তিনি জানায়,এধরনের ন্যকারজনক ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। ফালতু লোক সমাজ নেতা সিদ্দিক সমাজের অসৎ চরিত্রের মানুষ।এসব আজেবাজে মানুষের কারনেই অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।সিদ্দিক মুনশীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যবসা গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।ভিকটিমকে উদ্ধার পূর্বক হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার সেবা দেয়া হচ্ছে।এব্যাপারে রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) বলেন,অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply